নাটক-সিনেমায় বিয়ের দৃশ্যে ‘কবুল’ বললে দুই জনের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায় দাবি করে এই শব্দ উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
তথ্য সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিব ও বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড (বিএফসিবি) বরাবর এ নোটিস পাঠানো হয়েছে।
মাহমুদুল হাসান নামে এক আইনজীবী বৃহস্পতিবার নোটিশটি পাঠান।
নোটিস পাওয়ার তিন দিনের মাধ্য নাটক-সিনেমার দৃশ্যায়নে কবুল শব্দ উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। নইলে তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও বলা হয়।
১৯৭৩ সালের মুসলিম আইনের ২ ধারা উল্লেখ করে নোটিসে বলা হয়, বিয়ে, তালাক, ভরণপোষণ, মোহরানা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পক্ষরা যদি মুসলিম হয় তাহলে মুসলিম আইন (শরিয়ত) প্রযোজ্য হবে। সুতরাং মুসলিম নারী ও পুরুষ উপরোক্ত আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করলেই তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য হবে।
নোটিসকারি আইনজীবী বলেন, “বাংলাদেশে বিভিন্ন সিনেমা, নাটক এবং ভিডিওর বিভিন্ন দৃশ্যে বিয়ের দৃশ্যায়নে মুসলিম অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পূরণসহ ‘কবুল’ শব্দ উচ্চারণ করে থাকেন। যার মাধ্যমে উক্ত মুসলিম অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা মুসলিম আইন (শরিয়ত) অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য হবেন।”
নোটিসে বলা হয়, তাই মুসলিম আইন অনুসারে বিয়ের ক্ষেত্রে সরাসরি মুসলিম আইন (শরিয়ত) প্রয়োগ হবে। অভিনয়ের যুক্তিতে এই বিয়েকে অস্বীকার করা যাবে না।
‘কারণ, অভিনয়ের মধ্যে কেউ মিষ্টি খেলে সে যেমন মিষ্টির স্বাদ অনুভব করবে। অপরদিকে অভিনয়ের মধ্যে কেউ বিষ খেলে সে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হবে’- এমন যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী।